কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এ যাবৎকালের সব রেকর্ড ভেঙে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা মিলেছে। আজ শনিবার সকাল ৭টায় সিন্দুক খোলার পর ১১ ঘণ্টা গণনা শেষে সন্ধ্যা ৬টায় মোট টাকার পরিমাণ জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার।
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলার পর প্রতিবারই টাকার সঙ্গে নানা ধরনের চিঠি ও চিরকুট পাওয়া যায়। এগুলোতে মানুষের অনেক আকুতি ও প্রার্থনা লেখা থাকে। আজ শনিবারও দানবাক্স খুলে অনেক চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ব্যতিক্রমধর্মী চিরকুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
চার মাস ১২ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স (সিন্দুক) ও ১টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে এসব দানবাক্স খোলা হয়। জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া
অনেক আগে থেকেই আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি দেন ভক্তরা। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। নাম–পরিচয় উল্লেখ না করা ওই চিঠিগুলোতে প্রেরকেরা তাঁদের ফরিয়াদের কথা লেখেন। ইতিমধ্যে এসব চিঠি ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।